প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস
পবিত্র হাদীস শরীফে আছে-“ আমৃত্যু জ্ঞানান্বেষণ কর।” কিন্তু আমাদের দেশে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় যথার্থ জ্ঞানান্বেষণের পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নেই বললে অত্যুক্তি হবে না। বহুকাল পূর্বে বৃটিশ ঔপনিবেশিক শাসক গোষ্ঠী কর্তৃক তাদের স্বার্থে প্রণীত একটি শিক্ষা কাঠামো এ দেশের মানুষের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছিল। সরকারেরআন্তরিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও উক্ত ব্যবস্থার তেমন পরিবর্তন সাধিত হয়নি।
এ প্রেক্ষাপটে শিক্ষা ব্যবস্থার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে মেহেরপুর জেলার কৃতিসন্তান, বিশিষ্ট ......, .............................................................................., দানশীল ব্যক্তিত্ব, বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষানুরাগী জনাব ........................... তাঁর ছোট ভাই মরহুম ........................ স্মৃতি রক্ষার্থে একক অর্থায়নে ১৯৮৫ খ্রিঃ ব্যতিক্রমধর্মী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ...............মাধ্যমিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
স্কুল প্রতিষ্ঠা ও স্কুলের একাডেমিক কার্যক্রম সঞ্চালনে জনাব ........................ সাহেবের চাচা .................................... সাহেবের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বাস্তবায়িত হয়। তাঁর আন্তরিক সহযোগিতা ও দিক নির্দেশনা স্কুলের অবকাঠামো ও শিক্ষার মানন্নোয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
এ অঞ্চলে একটি স্কুল স্থাপনা ছিলো এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী। এলাকায় শিক্ষার পরিবেশ ও সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যেই আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়েছে।
জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৭ কি:মি।সড়কের পাশে ..................... উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্রে স্কুলটি অবস্থিত হওয়ায় সমগ্র জেলার সাথে এর যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত। ফলে জেলার প্রতিটি এলাকা থেকে অতি সহজে ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে শিক্ষা লাভের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। ছাত্র-ছাত্রীদেরকে যথার্থ শিক্ষা প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশগত গুরুত্বের দিকে দৃষ্টি রেখেই স্কুলটি উপজেলায় মনোরম পরিবেশে স্থাপন করা হয়েছে। আবহমান বাংলার সবুজে সমৃদ্ধ পল্লীর মনোমুগ্ধকর দৃশ্য প্রতিটি মানুষের মনে পবিত্র ও সুস্থ অনুভূতির জন্ম দেয়। শুধু তাই নয় পল্লীর রূপ আর উদারতার সমন্বয় ঘটেছে অত্যন্ত সার্থকভাবে। আর পল্লীর এ স্নিগ্ধ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে ছাত্র-ছাত্রীরা শিক্ষা গ্রহণে অধিকতর মনোযোগী হতে পারবে এবং শিক্ষা গ্রহণের পথ বহুলাংশে প্রশস্ত হবে।
প্রচলিত শিক্ষা প্রদানের পাশাপাশি বৃত্তিমূলক শিক্ষাদানের মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে স্বাবলম্বী এবং কর্মক্ষম সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার মহান উদ্দেশ্য নিয়েই এই স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।